শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০০৯

তিব্বতের অদেখা ছবিগুলোও কি অনেক কথা বলে?

[লেখাটি গত ১৩ নভেম্বর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় উপ-সম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। তার উত্তরে গত ২৩.১১.২০০৯ New Age পত্রিকায় রেহনুম আহমদ একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন, China-US politics over exhibiting Tibet. In Dhaka. রে. আ. এর লেখাটির প্রত্যুত্তর তৈরি করে যথারীতি একই পত্রিকায় পাঠিয়েছি গত ১১.১২.০৯ তারিখ রাতে। আমি তাদের প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। আমার উত্তরটি তৈরি করার সময় SFT,BD সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পেরেছি, সেগুলোও প্রকাশের ইচ্ছা রইল।]

প্রচলিত কথা আছে একটি আলোকচিত্র নাকি হাজার কথা বলে। কিন্তু যে ছবি আমরা দেখতে পারলাম না, তাও কি হাজার কথা বলে? অন্যক্ষেত্রে না বললেও, সম্প্রতি সরকারি হস্তক্ষেপে ভণ্ডুল হয়ে যাওয়া Into Exile: Tibet 1949-2009 শীর্ষক প্রদর্শনীর অদেখা ছবিগুলো কিন্তু অনেক কথাই বলে। সেসব কথারই কয়েকটিকে খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

মৌলিক অধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

আলোকচিত্র প্রদর্শনীটির উদ্দেশ্য, আয়োজনের সময়, আয়োজক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের একটির পরিচয়, কর্মকাণ্ড ও মতলব; ছবির বিষয়বস্তু ও বস্তুনিষ্ঠতা (যেহেতু ছবিগুলো দেখিনি তাই অনুমান থেকে বলছি), দালাইলামা চক্রের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি নিয়ে সন্দিহান হবার অবকাশ রয়েছে। মতভেদ সত্ত্বেও বলা যায় যে, প্রদর্শনীটি বন্ধ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে হস্তক্ষেপ করা হলো তা এদেশে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারহীনতার মাত্রা ও গণতন্ত্রের আসল চেহারাকে উন্মোচিত করে দিল আরেকবার। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর এমন দমনপীড়নের পরও সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবাদহীনতা আরও আশংকাজনক। আজ এর প্রতিবাদ না করলে, কাল যখন আমার-আপনার উপর একই দমনপীড়ন নেমে আসবে তখন আমাদের পাশে দাঁড়াবার মতো যে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না সে কথাটি কিন্তু পাদ্রী Martin Niemoller হিটলারের ফ্যাসিস্ট জমানাতে হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনীতি আর সংস্কৃতির কর্তাদের অন্তহীন সংগ্রামের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ তাঁদের কাছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অন্যতম দেশ চীনের ধমকের কাছে মাথা নত করে একটি আর্ট গ্যালারির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেবার মতো কাপুরুষতা দেখানো আর সেই চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন এমপি’র তৎপরতা কি ঘোষিত আদর্শ নিয়ে তাঁদের আন্তরিকতার প্রতি সাধারণ মানুষকে আস্থাহীন করে তুলল না? মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো ধর্মকে যেমন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মতলববাজীর কারণে ব্যবহার করে, তেমনিভাবেই কি ’মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যবহার করা হচ্ছে তাহলে?

মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রহসনের মঞ্চায়ন এই প্রথম নয়। অন্তত তিনজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে। গ্রহণ করা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিশেষ তহবিল থেকে দেয়া সা-ড়ে আ-ট হা-জা-র ডলারের দান। সেই কথা এক বছর পর অভাবী বাঙ্গালিদের স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি পরবর্তী রাষ্ট্রদূত! এখন বাকি আছে শুধু পাকিস্তান। পাক দূতাবাসের হুকুম তামিল করা আর তার হাইকমিশনারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার্থে অনুদান গ্রহণ করলে পর হয়ত বলা যাবে যে, এসব কাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী ও ধিক্কারজনক।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সরকার ও উল্লিখিত সংসদ সদস্য সৎ হলে তারা বিনয় ও বলিষ্ঠতার সঙ্গে চীনা দূতাবাসকে জানিয়ে দিতে পারতেন যে, আমাদের সরকার চীনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমাদের একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান যে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেটি তাদের নাগরিক অধিকার। নাগরিকদের অধিকার দলন করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ প্রদত্ত সংবিধানের পরিপন্থী। সেটাই হতো মুক্তিযুদ্ধে চীনের ভূমিকার উপযুক্ত ও সম্মানজনক জবাব। প্রভুসুলভ আচরণকারী সকল রাষ্ট্রদূতরা বুঝত যে, বাংলাদেশের সরকার এবং রাজনীতিবিদরা হুকুমরবদার নয়।

প্রদর্শনীর সহ-আয়োজক কারা? কী তাদের উদ্দেশ্য?

প্রদর্শনীটির সহ-আয়োজক ছিল ’স্টুডেন্টস ফর এ ফ্রি টিবেট, বাংলাদেশ’ (এসএফটি,বিডি। কমা দিয়ে বাংলাদেশ মানে হচ্ছে এটি একটি তিব্বতী নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) নামের নব্য-প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। চীনের বিরুদ্ধে তিব্বতে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৭ সালে ঢাকার বিমানবন্দর ব্যবহার করত তাদের ST. CIRCUS নামের গোপন অপারেশনের কাজে। এছাড়া দালাইলামা চক্রের ব্যাপারে এদেশের আর কোনো সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা যায় না। তিব্বতী উদ্বাস্তুরা অধিকাংশ উত্তর ভারত এবং নেপালে অবস্থান করে এবং প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছুমাত্রায় ইউরোপীয় দেশগুলোর প্ররোচনায় সেখান থেকেই তাদের চীনবিরোধী তৎপরতা চালায়। তিব্বত নামে আমাদের প্রসাধনী সামগ্রী থাকলেও, বাংলাদেশে কোনো তিব্বতী আছে কিনা সন্দেহ। এখানে তিব্বতী কোনো ছাত্রের কথা শোনা যায় না। তাহলে কারা, কবে এবং কেন এই সংগঠনটি তৈরি করল? যুক্তিসঙ্গতভাবে এসব প্রশ্ন কি তোলা যায়? এমন একটি সদ্যগজানো সংগঠন কীভাবে এত সুচারুভাবে বাংলাদেশের কূট-রাজনীতির ডোবায় একটি ঢিল মারল যা থেকে সৃষ্ট ডিজিটাল তরঙ্গবলয় সারা বিশ্বের পাড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার দলন আর চীনের পেশীশক্তি প্রদর্শনীর বার্তা নিয়ে?

দালাই লামার ভারতে পদাপর্ণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এসএফটি,বিডি ঢাকার চীনা দূতাবাসের সামনে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে মঞ্চে হাজির হয় গত ৩১শে মার্চ। স্থানীয় কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ এসেছিল কিনা জানি। তবে দালাই লামাচক্রের ধর্মশালাভিত্তিক প্রচারণা নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাদের বিক্ষোভের খবর ও ছবি আছে। এমনকি তিব্বতী ‘সংবাদদাত’ বিক্ষোভকারীদের নেত্রীসহ (এবং চ্যাপ্টারে প্রতিষ্ঠাত/ডিরেক্টর। ছাত্র সংগঠনের প্রধানের পদবী ডিরেক্টর হওয়া বেশ বিরলই বটে!) কয়েকজনের সাথে কথা বলছেন এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে সেই সংবাদ। সংবাদে লেখক/গায়কসহ ৪০ জন বিক্ষোভকারীর কথা বলা হলেও গলায় গামছা ঝোলানো এবং পোস্টার হাতে ৮/১০ তরুণ-তরুণীর ছবি রয়েছে। ভণ্ডুল হওয়া প্রদর্শনীটির সহ-আয়োজক এরা। সহ-আয়োজক হিসেবে তাদের ভূমিকা কী তা স্বচ্ছ নয়। যেসব ছবি প্রদর্শিত হবার কথা ছিল সেগুলো কি তাদের তোলা? তেমন তথ্য কোথাও নেই, ছবির সময়কাল শুরু হয়েছে ১৯৪৯ সাল থেকে। ধর্মশালা বা সান ফ্রান্সসিস্কো থেকে ছবিগুলো কি তারা সংগ্রহ করে এনে দিয়েছে? তথ্য নেই। এমন ব্যয়বহুল প্রদর্শনীর খরচের অংশীদার কি তারা? তাদের অর্থের উৎস? প্রচার সুবিধা পাবার জন্য তারা কি শুধু নিজেদের নাম ব্যবহার করতে দিয়েছে স্লিপিং পার্টনার হিসেবে? তাদের নামের নিশ্চয় কোনো যাদু আছে তাহলে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান দুটি ছাড়াও নেপথ্যের কুশীলবরাও কি একে অপরের নাম ব্যবহার করেছে পারস্পরিক লাভের জন্য? নাম দেখা গেলেও সহ-আয়োজকরা কেউ সামনে নেই কেন? তাদের কি গোপন করার কিছু আছে? প্রশ্নগুলো অনুসন্ধান করে দেখার বিষয় হতে পারে কৌতূহলীদের জন্য।

প্রদর্শনীটির উদ্দেশ্য নিয়ে রয়েছে দুই শিবিরের পরিষ্কার বক্তব্য। গালফ নিউজ পত্রিকাকে চীনা মুখপাত্র বলেছেন যে, তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন গড়ে তুলতে প্রদর্শনীটি আয়োজিত হয়েছে বলেই তারা এটি বন্ধ করতে চেয়েছে। একেবারে নির্ভেজাল বক্তব্য। প্রদর্শনীর উদ্বোধক টিআইবিখ্যাত মোজফফর আহমদ বলেছেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্কে আমাদের জানার অধিকার আছে, সেটা হচ্ছে আমাদের জানার স্বাধীনতা। তাঁর কথাও উড়িয়ে দেবার মতো নয়। তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়। প্রদর্শনীটি কি শুধুমাত্র জানার আগ্রহ ও স্বাধীনতার মতো নির্দোষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আয়োজিত হয়েছে? চীনা মুখপাত্রের বক্তব্য কি তিনি উড়িয়ে দিতে পারবেন? সহ-আয়োজকদের সম্পর্কে তিনি কী জানেন তা জানাবেন কি 'আমাদের জানার অধিকার' নিশ্চিত করার জন্য। প্রদর্শনীটির সঙ্গে কি দালাই লামার বিতর্কিত অরুণাচল সফরের সময় মাঠ গরম করার সম্পর্ক রয়েছে? চীনকে তিব্বত দখলকারী দুষ্ট শক্তি হিসেবে দেখাবার উদ্দেশ্য নিয়ে কি আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনীটি? এসব বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য আয়োজদ্বয় ও উদ্বোধক কি উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন জনসমক্ষে?

সহ-আয়োজকদের সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য দিলে এই আয়োজনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হবে হয়ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত দালাই লামা চেক্রের মাধ্যমে তিব্বতে সশস্ত্র অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সিআইএ সরসারি তিব্বতী আন্দোলন (২০০৬ সালের মানে বার্ষিক এক কোটি ১৬ লাখ ডলার) এবং দালাই লামাকে (২০০৬ সালের মানে বার্ষিক ৮ লাখ ৯৭ হাজার ডলার) সরাসরি অর্থ যোগাত [এপি। ১৫.৯.৯৮]। এক কথায় বলা চলে দালাইলামা চক্রের সকল তৎপরতার প্রধান নাটের গুরু হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন প্রতিষ্ঠান; যার মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে সিআইএ’র বেসামরিক অঙ্গ ন্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি (নেড)। নেডের কাজকর্ম সম্পর্কে এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট অ্যালেন ওয়েনস্টেইন প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ওয়াশিংটন পোস্ট (২২.৯.৯১) পত্রিকাকে বলেছিলেন: ‘২৫ বছর আগে সিআইএ গোপনে যা করত, তার অনেক কিছুই আজ আমরা [নেড] করি।’

সশস্ত্র অন্তর্ঘাত চালাবার পাশাপাশি প্রচারণা, মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধ চালাবার জন্য দালাই লামাচক্রের রয়েছে একাধিক অঙ্গ সংগঠন যেগুলো সিআইএ এবং নেড এর অর্থায়নে পরিচালিত নয়। নেড যে পাঁচটি তিব্বতী নেটওয়ার্ককে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দিয়ে পরিচালনা করে তার একটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর টিবেট বা আইসিটি (১৯৮৮)। আইসিটি’র অঙ্গ হিসেবে এসএফটি খোলা হয় ১৯৯৪ সালে, বিভিন্ন দেশে যার চ্যাপ্টার রয়েছে। এই প্রদর্শনীর কথিত সহ-আয়োজক সংগঠনটি তেমনি একটি চ্যাপ্টার, যারা বাংলাদেশে দালাই লামার পক্ষে চীনবিরোধী কাজ শুরু করেছে বলে বিশ্বাস করার মতো কারণ রয়েছে।

মনস্তাত্ত্বিক/সাংস্কৃতিক যুদ্ধে কে জয়ী হলো?

প্রতিবেশীদের জানার অধিকার, সাংস্কৃতিক মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদির আড়ালে আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি যে কার্যত একটি প্রচারণামূলক মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ছিল সচেতন কারো পক্ষে সেটা না বোঝার কারণ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এই লড়াইয়ের দুই পক্ষ--নেড সমর্থিত ধর্মশালাভিত্তিক এসএফটি আর চীনা দূতাবাস/সরকার--কে জিতল আর কে হারল? অদ্ভূত শোনালেও সত্যি যে, উভয় পক্ষই জিতল!

চীন সম্পর্কে কে কী ভাবল এটা তাদের কাছে সব সময় খুব বড় কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। তারা স্পষ্টভাবে জানে যে, এই প্রদর্শনী তাদের দেশের স্বার্থের প্রতিকূলে যায়, এটা তাদেরকে বন্ধ করতে হবে। তারা সফলভাবে সেটাই করেছে।

আর আয়োজকরা খেলতে নেমেছিল উভয় দিকে একই ছাপ মারা একটি পয়সা নিয়ে। ছুড়ে মারা পয়সাটি পড়ার পর যাই উঠুক সেটি তাদেরই মার্কা হবে। অর্থাৎ, প্রদর্শনীটি হলেও তারা কামিয়াব হতো, না হওয়াতেও তারা সফল হয়েছে। প্রদর্শনীটি চললে তারা দালাই লামার পক্ষে অনেক স্পষ্টভাবে প্রচার চালাত। না হওয়াতেও তারা চীনবিরোধী কুৎসা চালাবার মতো যথেষ্ট বাতাস লাগাতে পেরেছে নিজেদের পালে। এমনকি পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টদের পালেও মন্দ বাতাস লাগেনি!
১৩.১২.০৯। সকাল ২:৩০